Manipur Violence: হিংসায় কড়া কেন্দ্র, মণিপুরে চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা

চলতি বছরে মে মাসে জাতি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না? বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মোদী সরকার। সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথমদিনেই অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট।

Updated By: Nov 13, 2023, 11:27 PM IST
Manipur Violence: হিংসায় কড়া কেন্দ্র, মণিপুরে চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৬ মাস পার। মণিপুরে হিংসায় এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। কীভাবে? ইউএপিএ আইনে ৫ বছরের জন্য় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল সংখ্যাগুরু মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে। 

আরও পড়ুন:  Firing at Diwali: মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দীপাবলির রাতেই গুলি খেলেন মা-মেয়ে! কেন?

ঘটনাটি ঠিক কী? চলতি বছরে মে মাসে জাতি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না? বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মোদী সরকার। সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথমদিনেই অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট।  শুধু তাই নয়, বিরোধীদের সেই অনাস্তা প্রস্তাব গ্রহণ করতে কার্যত বাধ্য হন লোকসভা স্পিকার।

মণিপুর 'নিষিদ্ধ' চরমপন্থী সংগঠন
-----------
পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র রাজনৈতিক শাখা ‘রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট’ (আরপিএফ), 
‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ)-এর সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ) 
‘পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক’ (প্রিপাক)-এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’ 
‘কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি’ (কেসিপি)-র সশস্ত্র শাখা ‘কাংলেইপাক রেড আর্মি’

এর আগে, সংসদের জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, 'মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকার একসঙ্গে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে আশ্বাস, 'আসন্ন ভবিষ্যতে মণিপুরে শান্তির সূর্য উঠবে, মণিপুর আবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই'।

বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'উত্তর-পূর্বের লোক এই সমস্যার জন্য দায়ী নয়। কংগ্রেসের রাজনীতি দায়ী।  যেসব জায়গায় কম আসন তা নিয়ে কংগ্রেস কোনওদিন ভাবেনি। নেহেরুর বিরুদ্ধে লোহিয়াজির অভিযোগ ছিল জেনেবুঝে উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে অগ্রহ দেখাচ্ছে না সরকার। চিন হামলার সময় নেহেরুর রেডিও বার্তা অসমবাসী আজও মনে রেখেছে। উত্তর-পূর্বের মানুষের বিশ্বাসকে হত্যা করেছে কংগ্রেস। সেই ক্ষোভেরই নানা ভাবে বহিঃপ্রকাশ হয়'।

আরও পড়ুন:  Infosys: কর্মীদের গড় বেতনের প্রায় ৬২৭ গুণ রোজগার ইনফোসিসের সিইও-র!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.