Mango Cultivation: মনকে শক্ত করুন, এবারে পাতে পাবেন না আম...

Mango Cultivation: দীর্ঘায়িত শীত-সহ আবহাওয়ার নানা বৈপরীত্যে এবার আমের ফলন কি আশানুরূপ হয়নি? অন্তত তেমনই শোনা যাচ্ছে যে, এবার আমের ফলনের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। এ বিষয়ে দুই বাংলার ছবিটা মোটামুটি একই। ফলে, এখনই বলে দেওয়া যাচ্ছে, এবার বাঙালি হয়তো আশ মিটিয়ে আম খেতে পারবেন না। বাঙালির পাতে এবার কম পড়বে আম।

Updated By: Apr 20, 2024, 03:59 PM IST
Mango Cultivation: মনকে শক্ত করুন, এবারে পাতে পাবেন না আম...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার কি আমের ফলন আশানুরূপ হয়নি? অন্তত তেমনই শোনা যাচ্ছে, এবার আমের ফলনের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। এ বিষয়ে দুই বাংলার ছবিটা মোটামুটি একই। ফলে, এখনই মোটামুটি বলে দেওয়া যাচ্ছে, এবার বাঙালি হয়তো আশ মিটিয়ে আম খেতে পারবেন না। বাঙালির পাতে এবার কম পড়বে আম। 

আরও পড়ুন: Sun Disappeared: ৩০০০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল সূর্য! কৃষ্ণের সেই সূর্য ঢেকে ফেলার সঙ্গে কি কোনও যোগ আছে?

বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের ঘিওরে আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর উপর আবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আমগাছে মুকুলও কম এসেছে। আবার, বৃষ্টির অভাবে মাঝারি আকৃতির গুটি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমিচাষি ও আমবাগান মালিকেরা। সব মিলিয়ে আমের ফলন অনেকটা কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। বহু এলাকাতেই আম গাছের নীচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আম গাছে যথারীতি সেচ করে ও কীটনাশকের মিশ্রণ স্প্রে করেও গুটি টেকানো যাচ্ছে না বলে জানান আমচাষিরা।

এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর এই অঞ্চলের আম বাগান ও বাড়ির গাছ থেকে কাঁচা ও পাকা আম কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন তাঁরা। তবে চলতি বছর খরার কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। ফলে কাঁচা আমের সরবরাহ কমে গিয়েছে। আর এভাবে চলতে থাকলে পাকা আমের ফলনও কমে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহেও আমবাগানগুলিতে সেভাবে মুকুলের দেখা মেলেনি। ফলে তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল  এবারের মরশুমে আমচাষিদের প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। প্রায় সেই কথাই সত্য হতে চলেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে ৷ তবে উদ্যানপালন দফতর এবং ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন উভয়েই আমচাষিদের এখনই হতাশ হতে নিষেধ করেছে।

আরও পড়ুন: Largest Black Hole In Milky Way: পৃথিবী থেকে ২০০০ আলোকবর্ষ দূরে কোথায় লুকিয়ে ছিল বৃহত্তম এই কৃষ্ণগহ্বর...

পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম। এই জেলার প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। গত বছর এখানে আমের ফলন খুবই ভালো হয়েছিল। ফলে লাভের মুখ দেখেছিলেন আমচাষিরাও ৷ কিন্তু এবার আবহাওয়া বিরূপ ৷ এবছর দীর্ঘস্থায়ী ছিল শীতের প্রভাব। তাই বাগানগুলিতে সেভাবে মুকুলের দেখা মেলেনি ৷ মুকুল বেরোনোর জন্য আসলে ২৩ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন ৷ মুকুল ফোটার সময়ে এবার তাপমাত্রা এরকম ছিল না। ওই সময়ে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.